বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত যদি আবার ২০১৩-১৪ সালের মতো তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে, তাহলে যুবলীগ তাদের ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেবে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। এতে বক্তব্য দানকালে তিনি এ কথা বলেন।
মাইনুল হোসেন নিখিল বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে, মানুষ হত্যা করে, তাহলে তাদের সেই হাত ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হবে। শুধু ঢাকা শহর নয়, সারাদেশেই যুবলীগ এর জবাব দেবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব বিপদগ্রস্ত। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি পৃথিবীর মানুষ বোঝে কিন্তু বিএনপি-জামায়াত তা বোঝে না। তারা এই ইস্যুটিকে সামনে এনে বর্তমান সরকারের পতন চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন চেয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ২০১৪-১৫ সালেও এই দাবি তুলে তারা দেশে হরতাল-অবরোধ ডাকে। সেসময় বিএনপি-জামায়াত দেশের ১৬৫ জন মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু। তারা স্বাধীনতার শত্রু। একাত্তরে তারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি। জিয়াউর রহমান সেই পরাজিত শক্তিকে, স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আমাদের মা-বোনদের পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে তুলে দিয়েছিলেন। তারা মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল। তাদের গাড়িতেই এই স্বাধীন দেশের জাতীয় পতাকা উড়েছিল। এরা যখনই আবার ক্ষমতায় আসবে, তখনই বাংলাদেশের মানুষ প্রশ্নবিদ্ধ হবে, জঙ্গি হামলার শিকার হবে, বাংলাদেশের মানুষ বিপথগামী হবে। অতএব তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক- ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ সায়মনসহ আরও অনেকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক-মো. শামছুল আলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ- দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদাসহ আরও অনেকে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।