প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

থমথমে নয়াপল্টন পুলিশের দখলে: বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থান

admin
প্রকাশিত
থমথমে নয়াপল্টন পুলিশের দখলে: বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থান

 

স্টাফ রিপোর্টার:

পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকা। সংঘর্ষে একজন নিহতও হন। গতকালের ঘটনার পর এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে নয়াপল্টন এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে।

নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুলে কঠোর অবস্থান রয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে তল্লাশি।

 

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করেছে পুলিশ। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।

পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয়দের প্রবেশ করতেও দেখাতে হচ্ছে পরিচয়পত্র। এদিকে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, বিপণীবিতান, অফিস ও ব্যাংক।

 

পথচারী আকরাম হোসেন বলেন, গতকাল থেকেই আতঙ্কে আছি। কখন কী হয়ে যায় জানি না। ভয়ে আছি। পেটের দায়ে বাইরে এসেছি, না হলে ঘরেই থাকতাম। ছেলে-মেয়েরা ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করার পরেও আসতে হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থান পুলিশের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত চলবে।

এদিকে নেতাকর্মীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের ভিআইপি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। বিএনপি কার্যালয়ে ঝোলানো হয়েছে তালা। কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে ফিরে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় রাজধানীর বিজয়নগরের নাইটিংগেল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ সময় তাদের ‘জিয়ার সৈনিকরা এক হও লড়াই করো’, ‘পুলিশের বাধা মানি না মানবো না’, ‘জেগেছে রে জেগেছে জিয়ার সৈনিকরা জেগেছে’-এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

 

সেখানে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা বলছেন, একটি সভ্য দেশে এটা মানা যায় না। সমাবেশ বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। কিন্তু আমাদের সমাবেশ পল্টনেই হবে।

শহিদুল নামে যুবদলের এক কর্মী বলেন, সমাবেশ পল্টনে হতে দেবে না পুলিশ। পুলিশের যুক্তি যানজট, যানচলাচল বিঘ্নিত হবে। জননিরাপত্তা ব্যাহত হবে। কাল বিএনপি নেতাকর্মীদের কীভাবে মারধর করা হয়েছে, হামলা চালানো হয়েছে। আজ পুলিশই সড়ক বন্ধ করেছে, দলীয় কার্যালয়ে ঝুলিয়েছে তালা। গণতান্ত্রিক একটি দেশে এই চিত্র অগণতান্ত্রিক।

 

 

এ সময় বার বার পুলিশকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিএনপির কার্যালয় থেকে কাল অনেক বিস্ফোরক, বোমা উদ্ধার হয়েছে। নাশকতার চেষ্টা হয়েছে। যে কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে নাইটিংগেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত যানচলাচল ও সর্বসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন।