প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বাংলাদেশ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি: মির্জা আব্বাস

admin
প্রকাশিত
বাংলাদেশ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি: মির্জা আব্বাস

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা মামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করুক না কেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা ভীত নয়। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করেই বিএনপির শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করা হবে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এ কথা বলেন তিনি।

সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশে ছাড় দেওয়া হলেও ঢাকায় সমাবেশে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ছাড় দেওয়া হবে না বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন মির্জা আব্বাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। ওবায়দুল কাদের উনিতো এখন প্রলাপ করছেন। তাদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষীও দিয়েছেন। ছাড় দেওয়ার কী আছে; তা ছাড়া, ছাড় দেওয়ার উনি কে?।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টন এই দুইটির বাহিরে যদি আপনাদের সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে বিএনপির সিদ্ধান্ত কী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিকল্প স্থান যদি আমাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়, যদি আমাদের কাছে নিরাপদ মনে হয় সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে। এই মুহূর্তে বিকল্প নাম বলা যাচ্ছে না। নয়াপল্টনে আমাদের সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত আছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সারা দেশে আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করেছি শান্তিপূর্ণভাবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করব। সেই সমাবেশে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমের হয়তো ঘোষণা আসতে পারে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমরা দলীয় কার্যক্রম করতে পারছি না লিফলেট বিতরণ করতে পারছি না বাধা দেওয়া হচ্ছে পদে পদে।’

গতকাল ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের উপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ প্রতিদিন সরকার ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি নাকি সন্ত্রাস করবে? বাস্তবতা হচ্ছে আমরা কেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে যাব। বরং সরকার সন্ত্রাসমূলক আচরণ করছে।

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এখনো সময় আছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করুন, গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিন, হামলা মামলা বন্ধ করুন। অন্যথায় যদি পাল্টা ঘটনা ঘটে এর দায়ভার আপনাদের নিতে হবে।

তিনি বলেন, এক সময় যারা শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর কথা বলে নেচেছিল তারাও বলছেন একটি সমাবেশ দিয়ে সরকারের পতন হয় না তাদের এ ধরনের মন্তব্যের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমিও বলছি একটি সভা সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের পতন হয় না। তারপরও বুঝি না সরকার কেন ভয় পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সফু, রফিকুল আলম মজনু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন।