প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে খেলা দেখাচ্ছে: রিজভী

admin
প্রকাশিত
আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে খেলা দেখাচ্ছে: রিজভী

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির বিভিন্ন নেতাকে আত্মঘাতী খেলোয়াড় মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কাদেররা যখন বিপদে পড়বে, তখন বলে দিবে খেলাপি ঋণের টাকা, উন্নয়নের নামে বিদেশে পাচার করা টাকার সঙ্গে শেখ হাসিনা-জয় জড়িত।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওবায়দুল কাদের, শেখ সেলিম সাহেব বলে দিয়েছেন, শেখ হাসিনা কার কার কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন। আবারও সেটা হতে পারে। সুতরাং ওবায়দুল কাদের যখন বলবেন খেলার কথা, তখন শেখ হাসিনা আপনিও সাবধান হয়ে যান। ওবায়দুল কাদের কিন্তু বিপদে পড়লে আপনার বিরুদ্ধেও খেলা দেখাবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিদিন বলেন খেলা হবে। খেলা হবে এ কথা তিনি বলছেন ফিউচার টেন্সে। কিন্তু ওনার এ কথা প্রেজেন্ট টেন্সে বলা উচিত। ওনার বলা উচিত খেলা চলছে। আপনি খেলা দেখাচ্ছেন না? আপনি কামরুজ্জামন রতনকে গ্রেফতার করে রেখেছেন। এটা কি খেলার অংশ নয়? আপনি মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদকে গ্রেফতার করে রেখেছেন। এটা কি খেলার অংশ নয়? সারাদেশে বিএনপির গণসমাবেশ যাতে সফল না হয়, এজন্য আপনি অনেককে গ্রেফতার করে রেখেছেন। এটা কি খেলার অংশ নয়? যেদিনই বিএনপির সমাবেশ তার দুইদিন আগে বাস মালিক সমিতি গাড়ি বন্ধ করে ধর্মঘট ডাকে। এটাও তো আপনার খেলার অংশ। কারণ আপনার নির্দেশ ছাড়া তো বাস মালিক সমিতি এ ধর্মঘট ডাকার কথা না। এটা তো খেলার অংশ। এটা কোনো প্রকৃত ধর্মঘট না।

রিজভী আরো বলেন, আগামীকাল সিলেটের গণসমাবেশের জন্য গতকাল হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় বিএনপি অফিসে প্রস্তুতি সভা চলছিল। সেই অফিসের মধ্যে ঢুকে লাঠিচার্জ করে, গুলি করে হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গউছসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এটাও তো খেলার অংশ।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির গণসমাবেশ যাতে সফল না হয়, তাই বাস-মিনিবাস বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তারপরও মানুষ অটোরিকশা, করিমন, নসিমন, ভটভটি, সাইকেল, নৌকা, ট্রলারে করে জোয়ারের পানির মতো সমাবেশে ছুটে আসছে।

বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে খেলা দেখাচ্ছে। বিদ্যুতের নাকি বন্যা বয়ে গেছে। বড় বড় রাস্তাঘাট, উড়ালসেতু কত উন্নয়ন। মানুষের আয় নাকি বেড়েছে। এখন সে আয়, উন্নয়ন গেল কোথায়। প্রধানমন্ত্রী একবার বলছেন দুর্ভিক্ষ হবে, আবার বলছেন হবে না। মানুষের আয় যদি বেড়েই থাকে তাহলে কেন দুর্ভিক্ষ হবে?

দুর্ভিক্ষ বর্তমানে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩০ টাকায় সরকারি চাল দেওয়ার ট্রাক যে জায়গায় গিয়ে থামে, সেখানে মানুষ দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে। এটাইতো দুর্ভিক্ষের আলামত। ওবায়দুল কাদের বলছেন খেলা হবে ভবিষ্যতে। বর্তমানেই তো তিনি যে খেলা দেখাচ্ছেন মানুষের আহার ও খাদ্য নিয়ে। মানুষ সে খেলা দেখছে। মানুষ ভোগান্তিতে আছে। এর হিসাব কিন্তু ওনাকে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি আজকের এ প্রতিবাদ সভায় কামরুজ্জামান রতনের নিঃস্বার্থ মুক্তি দাবি করছি। ছাত্রজীবন থেকে সংগ্রাম করে আসা কামরুজ্জামান রতনকে আপনারা গ্রেফতার করেছেন, যাতে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে লোকজন কম হয়। কিন্তু এটা আপনাদের ভুল পলিসি। বরং কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করার কারণে মুন্সীগঞ্জে সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, জনগণ আরো ভালোভাবে সংগঠিত হয়ে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করবে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও আবদুল কুদ্দুস ধীরেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, আলী আজগর রিপন মল্লিক, শহীদুল ইসলাম শহীদ, যুবদলের সোহেল আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আওলাদ হোসেন উজ্জ্বলসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদরা।

এ সময় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, মহিউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, শাহ আলম ও এসএম জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন।