প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিয়ানীবাজারে তৃণমূলে কাউন্সিল শুরু করে অস্বস্থিতে আওয়ামীলীগ

admin
প্রকাশিত
বিয়ানীবাজারে তৃণমূলে কাউন্সিল শুরু করে অস্বস্থিতে আওয়ামীলীগ

 

স্টাফ রিপোর্টার:

বিয়ানীবাজারে ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিল শুরু করে অস্বস্থিতে পড়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। বেশীরভাগ ওয়ার্ডে সমঝোতা না হওয়ায় নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের মধ্যে মধ্যে এক ধরণের অসূস্থ প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে পদপ্রত্যাশীদের আবেদনের পাশাপাশি অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পাহাড় জমছে। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি না হলে তৃণমূলে ক্ষোভ বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আওয়ামীলীগ। যা আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিবর্গ।

 

বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এখানকার ১০টি ইউনিয়নে ওয়ার্ডভিত্তিক কাউন্সিল শুরু করা হয়। প্রথমদিকে ২-১টি ওয়ার্ডে সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠনের খবর পাওয়া গেলেও সময় গড়ানোর সাথে আওয়ামী রাজনীতির মাঠ কেবল উত্তপ্ত হতে থাকে। ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জঠ তৈরী হয়। সূত্র জানায়, এমন ওয়ার্ডও আছে যেখানে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের পৃথক পদে ১০জনেরও বেশী প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। এমন অবস্থায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটি প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করে। কিন্তু সে উদ্যোগ ভেস্থে যাওয়ার পরই আর কমিটি ঘোষণা করা হয়না।

 

জানা যায়, গত ৪-৫দিন থেকে উপজেলার কোন ওয়ার্ডেই কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। কাউন্সিলস্থলে অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে এমনটি করা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামীলীগের অনেক দায়িত্বশীল জানান। তারা আরো জানান, কোন ওয়ার্ডে একজন প্রার্থীও যদি সমঝোতা না মানেন তাহলে সেখানে আর কমিটি ঘোষণা করা হয়না।

 

মুল্লাপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী উপজেলা অওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আহমদ হোসেন বাবুল বলেন, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১টিতে কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে। বাকীগুলোতে কাউন্সিল শেষ হলেও কমিটি ঘোষণা করা যায়নি। তিনি আরো বলেন, রাতের বেলা কাউন্সিল হওয়ায় সকল কার্যক্রম শেষ করতে অনেক দেরী হয়ে যায়। তাই অনেক সময় যথাস্থানে কমিটি ঘোষণা করা যায়না। তাছাড়া একেকটি ওয়ার্ডে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন। এতে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে বিধায় আমরা প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরম দিয়ে উপজেলায় নিয়ে আসি।

 

লাউতা ইউনিয়নের সমন্বয়কারী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আব্দুস শুকুর জানান, সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও যদি স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের করার কিছু থাকেনা। আওয়ামীলীগ বড় দল। নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা থাকবেই। আর তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাই তাদের মতামত নিয়ে কমিটি গঠন করলে দলের জন্য ভালো হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন।