প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

শিশুদের যৌন নির্যাতন: প্রেমিকের ১২৯, প্রেমিকার ১২৬ বছরের কারাদণ্ড

admin
প্রকাশিত
শিশুদের যৌন নির্যাতন: প্রেমিকের ১২৯, প্রেমিকার ১২৬ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
শিশু-কিশোরীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ফিলিপাইনে এক ব্যক্তিকে ১২৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এবং এটি আদালতে তার দ্বিতীয় সাজা। এছাড়া আদালত ওই ব্যক্তির বান্ধবীকেও ১২৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

১৮ মাস পর্যন্ত কম বয়সী ভুক্তভোগী শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাদের এই সাজা দেন আদালত। দেশটির একজন প্রসিকিউটরের বরাত দিয়ে বুধবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২৯ বছরের সাজা পাওয়া অস্ট্রেলীয় ওই ব্যক্তির নাম পিটার জেরার্ড স্কুলি। আদালতে এটি তার দ্বিতীয সাজা। কারণ মেয়েদের ধর্ষণ ও পাচারের অভিযোগের ইতোমধ্যেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি।

এএফপি বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের জন্য বৈশ্বিক হটস্পটে পরিণত হয়েছে। মূলত দেশটিতে দারিদ্র্য, মানুষের ইংরেজিতে কথা বলার সাবলীলতা এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ এই বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কাগায়ান ডি ওরোর আঞ্চলিক প্রসিকিউটর মেরলিন বারোলা-উই বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি আশা করি, পিটার জেরার্ড স্কুলিকে দেওয়া কারাদণ্ড সকল অপব্যবহারকারী, সকল মানব পাচারকারীর কাছে খুব শক্তিশালী একটি বার্তা পাঠাবে। আর তা হলো- অপরাধ করে সত্যিই কোনো লাভ হয় না।’

বার্তাসংস্থাটি বলছে, স্কুলিসহ মামলার তিন সহ-অভিযুক্তকে গত ৩ নভেম্বর কাগায়ান ডি ওরো শহরের একটি আদালত সাজা প্রদান করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পাচার, শিশু পর্নোগ্রাফি, শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণসহ ৬০টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

এদিকে আদালত স্কুলির বান্ধবী লাভলি মার্গালোকে ১২৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া অভিযুক্ত বাকি দুজনকে নয় বছরের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে পালিয়ে ফিলিপাইনে চলে আসেন পিটার জেরার্ড স্কুলি। এরপর ২০১৫ সালে দক্ষিণ ফিলিপাইনের মালয়বালে শহর থেকে স্কুলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত নিজ দেশে প্রতারণার অভিযোগ থেকে বাঁচতে তিনি ফিলিপাইনে এসেছিলেন।

পরে তিনি ফিলিপাইনে সাইবারসেক্স ব্যবসা শুরু করেন। তিনি মূলত দরিদ্র পরিবারের কিশোরী মেয়েদের সাথে যৌন সম্পর্ক করেছিলেন বা যৌন খেলনা ব্যবহার করেছিলেন। আর এসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করেন স্কুলি।

পরে সেসব ভিডিও জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন।