প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

২ লাখ ইভিএম কেনার বাজেট প্রসঙ্গে যা বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী

admin
প্রকাশিত
২ লাখ ইভিএম কেনার বাজেট প্রসঙ্গে যা বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল মঙ্গলবার সংশয় প্রকাশ করেন, ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটের সিদ্ধান্ত হলেও বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। এর মূল কারণ অর্থ বরাদ্দ। ২ লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে ইসি।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে। বুধবার তিনি বলেন, ‘ইসি যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটি তারা আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে দিতেই পারে। তবে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি সরকারের এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের। ইসির প্রস্তাবিত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব না হলে অর্থ মন্ত্রণালয় সেটা তাদের বোঝাবে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদিও বল এখন আমার কোর্টে, কিন্তু টাকার থলি অর্থ মন্ত্রণালয়ে। মূল ইস্যু হলো আস্থার বিষয়টি। সেটিকে পাশ কাটিয়ে শুধু বাজেট নিয়ে আলোচনা করলে হবে না। তবে আমি মনে করি, ইসি যেটা চাইবে সরকার সেটা দিতে বাধ্য। পাশাপাশি সরকার যদি মনে করে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়, সেটিও আলোচনা করে ইসিকে জানানো দরকার।’

এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ভোট করা সম্ভব হবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। ইভিএম কেনার প্রকল্প সরকার অনুমোদন করে কিনা, তার ওপর বিষয়টি নির্ভর করবে।’

ব্যালট বা ইভিএমের চেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই বর্তমান কমিশনের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি বলেন, ‘আমরা যেটা চাচ্ছি, ইভিএম বা ব্যালট মূল কথা নয়। মূল কথা হলো সবাইকে চেষ্টা করতে হবে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নির্বিঘ্ন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সেখানে ইভিএম থাকল কি থাকল না, সেটা বড় কথা নয়।’

বর্তমান কমিশন বিচার-বিশ্লেষণ ও মতামত নিয়ে ইভিএম সম্পর্কে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমরা এসেই কিন্তু ইভিএমকে সমর্থন করিনি। আমাদের তরফ থেকে ইভিএম নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করেছি। আমাদের ছয় মাস হয়েছে। আমরা দীর্ঘ সময় নিয়ে বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন প্রক্রিয়া-পদ্ধতিতে ইভিএম যন্ত্রটাকে বোঝার চেষ্টা করেছি। ব্যাপক আলোচনা করেছি। ব্যাপক অংশগ্রহণও হয়েছে। এর মাধ্যমে ম্যানিপুলেশন (কারচুপি) হয়, এমনটা কেউ দেখাতে পারেনি, বলতে পারেনি। এখন প্রকাশ্যে সবাই বলছেন, অন্তত ইভিএম দিয়ে হ্যাকিং সম্ভব নয়। এই ধারণাও আগে ছিল না। কিন্তু এখন হয়েছে।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নেতাদের বলেছি, আপনারা আপনাদের কাজ করেন। আমরা আপনাদের কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারব না। এটা সম্ভব নয়। ওনারাও আমাদের বলেছেন, আপনারা ইভিএম নিয়ে কোনো প্রচারণা করছেন না। আমরা বলেছি এটা আমরা দেখব।’

সিইসি বলেন, ‘তারা (ফোরামের নেতারা) একটা বিষয়ে বলতে চেয়েছেন আমাদের এখানে হয়তো বিদেশি ডিপ্লোমেটরা আসেন। তারা জানতে চেয়েছেন ডিপ্লোমেটরা আমাদের প্রভাবিত করেন কিনা? আমি বলেছি তারা ডিপ্লোম্যাট। তারা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত। নির্বাচন নিয়ে প্রভাবিত করার মতো কোনো কথা কখনো বলেননি এবং বলবেনও না। তারা অনেক সময় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কোনো সহায়তা লাগবে কিনা জানতে চান। তবে আমরা এখনো তাদের এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেইনি।’

সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলছি আপনারা নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করুন। নির্বাচনকে ফলপ্রসূ করুন। যাতে নির্বাচনটা সুন্দর হয় এবং জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।’

 

সংবাদটি শেয়ার করুন।