প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস

admin
প্রকাশিত
আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

আজ ১২ ভাদ্র। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস। বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের অধিক পরিচিতি বিদ্রোহী সত্তার কবি হিসেবে। তবে অন্যান্য অঙ্গনেও স্বমহিমায় আলো ছড়িয়েছেন তিনি। গান, গদ্য, উপন্যাসসহ সাহিত্যের সব শাখায় কবির ছিল অবাধ বিচরণ। তার গল্প ও তাকে নিয়ে সিনেমাও নির্মিত হয়েছে।

১৯৫৬-৫৭ সালে তাকে নিয়ে নির্মিত হয় ‘বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম’ নামে চলচ্চিত্র। এর অর্থায়নে ছিল কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছিল ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে একটি সিনেমা। পরে ১৯৭২ সালে কবিকে নিয়ে ‘কাজী নজরুল ইসলাম’ নামে একটি সিনেমা বানায় ভারত সরকার। একই নামে বিবিসি থেকে নির্মাণ করা হয়েছিল আরও একটি সিনেমা। বিদেশি নির্মাতার নির্মাণেও বাঁধা পড়েছেন এই কবি। কানাডার চলচ্চিত্র পরিচালক ফিলিপ স্পারেল তাকে নিয়ে ‘নজরুল’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন।

নজরুলের অসুস্থতার সময় এবং মৃত্যুর পর অনেক সিনেমায় তার গান ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় তার ও উত্তরাধিকারীদের অনুমতির তোয়াক্কাও করা হয়নি। তবে অধিকাংশ ছবিতেই নজরুলসঙ্গীতের ব্যবহার দর্শকপ্রিয় হয়েছে।

‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ সিনেমায় ‘পথহারা পাখি কেঁদে ফেরে একা’ গানটি উল্লেখ করা যায়। একইভাবে ‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায় ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটির ব্যবহার ছিল অসাধারণ। ‘লায়লি-মজনু’ সিনেমায় ‘লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া, মজনু গো আঁখি খোলো’ গানটির সার্থক ব্যবহার দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এমন বহু উদাহরণ দেওয়া যাবে।

নজরুলের গল্প ‘জ্বিনের বাদশাহ’ অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন বাপ্পারাজ। নজরুলের উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ এবং গল্প ‘ব্যথার দান’ ও ‘পদ্মগোখরা’ অবলম্বনেও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

শিশুদের জন্য লিখতে কার্পণ্য করেননি কবি নজরুল। তার লেখা দুটি জনপ্রিয় শিশুতোষ কবিতাÑ‘লিচু চোর’ ও ‘খুকি ও কাঠবিড়ালী’ নিয়ে শিশু একাডেমি নির্মাণ করেছে দুটি সিনেমা।

একবিংশ শতকে এসেও নজরুল জড়িয়ে আছেন বাংলা সিনেমার সঙ্গে। নজরুলের ‘মেহের নেগার’ গল্প অবলম্বনে ২০০৬ সালে একটি সিনেমা নির্মিত হয়।

সিনেমাটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন মুশফিকুর রহমান ও মৌসুমী। চলচ্চিত্রে প্রধান দুই চরিত্র কাশ্মিরের তরুণী মেহের নেগারের চরিত্রে মৌসুমী এবং আফগান যুবক ইউসুফের ভূমিকায় ফেরদৌস অভিনয় করেন। এ সময়ে আরেকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় নজরুলের গল্প ‘রাক্ষুসী’ অবলম্বনে। ‘রাক্ষুসী’ সিনেমার পরিচালক মতিন রহমান। তিনটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রোজিনা, পূর্ণিমা ও ফেরদৌস। কবি কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস ‘অতৃপ্ত কামনা’ নিয়ে গীতালি হাসান নির্মাণ করেন ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্রটি। এ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন ফেরদৌস-শায়লা। এ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ববি, নীলিমা, জাহিদ শিকদার, আবু সাঈদ খান, সানি, বেবী, সারিকা, রাফি, স্বর্ণা প্রমুখ। সিনেমাটি ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন।