প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

মায়ের নাম সংশোধনের আবেদন, বদলে গেল পিতার নাম!

admin
প্রকাশিত
মায়ের নাম সংশোধনের আবেদন, বদলে গেল পিতার নাম!

 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

জামালপুর জিলা স্কুলের এক শিক্ষার্থীর জুনিয়র স্কুল (জেএসসি) পরীক্ষার সনদপত্রে মায়ের নাম ভুল লেখা হয়। মায়ের নাম সংশোধন করার জন্য ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেন শিক্ষার্থীর পিতা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মায়ের নাম সংশোধন তো হয়ইনি, বরং পিতার নামের স্থলে সংশোধিত মায়ের নাম লেখা হয়েছে। নাম সংশোধন করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে।

সংশোধনীর আবেদনটির পরিচিতি নম্বর (আইডি) ৬৫৫।

জামালপুর জিলা স্কুলের ওই ছাত্রের নাম প্রত্যয় রঞ্জন ধর। ওই বিদ্যালয় থেকে পিইসি পাস করার পর ওই পরীক্ষার সনদপত্রে প্রত্যয় রঞ্জন ধরের বাবার নাম ‘মনোরঞ্জন ধর’ ও মায়ের নাম ‘শিপ্রা রানি সরকার’ লেখা রয়েছে। কিন্তু একই বিদ্যালয় থেকে পাস করা ‘জেএসসি পরীক্ষার’ সনদপত্রে বাবার নাম ঠিক আছে, তবে মায়ের নাম ‘শিপ্রা ধর’ লেখা হয়েছে। ওই ছাত্র বর্তমানে একই বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। এখন শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। নিবন্ধনের জন্য জেএসসি সনদপত্রে থাকা মায়ের নাম সংশোধন করার প্রয়োজন দেখা দেয়। ছাত্রের বাবা সেই নাম সংশোধন করার জন্য জামালপুর জিলা স্কুলের মাধ্যমে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেন।

ছাত্রের বাবা মনোরঞ্জন ধর জানান, মে মাসের শেষ দিকে তিনি মোবাইলে শিক্ষাবোর্ডের একটি বার্তা পান। ওই বার্তায় তাকে গত ১ জুন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে যেতে বলা হয়। তিনি সেদিন বোর্ডের চেয়াম্যান প্রফেসর ড. হাসান কামালের কার্যালয়ে গিয়ে যাবতীয় কাগজপত্র দেখিয়ে সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। কাজ শেষে তিনি চলে আসেন।

সম্পতি তিনি বোর্ডের ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন, ছাত্রের মায়ের নাম সংশোধন হয়নি। বরং নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ মায়ের নাম সংশোধন করার বদলে বাবার নামের স্থানে শিপ্রা রানি সরকার নামটি লিখে দিয়েছে।

এমন জটিলতায় পড়ে হতাশ হয়ে ছাত্রের বাবা বলেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটু মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে সন্তানসহ তাকে এ ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। এখন কী করবেন কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সচিব কিরীট কুমার দত্ত লেন, এটা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন।