প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কুয়েতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় বাংলায় খুতবা পাঠ

admin
প্রকাশিত
কুয়েতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় বাংলায় খুতবা পাঠ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
কুয়েতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় দুই ঈদের নামাজ ও সাপ্তাহিক জুমার নামাজে বাংলা খুতবা পাঠ করার অনুমতি প্রদান করেছে দেশে (ওয়াকাফ) ধর্ম মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশি খতিবরা এসব মসজিদে ইমামতি করে থাকেন।

এছাড়াও যে অঞ্চল গুলোতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার নাগরিক বসবাস করে ওই ভাষায় খুতবা পাঠ করা হয়। ১৭ জুন শুক্রবার খুতবার আলোচ্য বিষয় ছিল- হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি ঈমানদারদের প্রেম ও ভালবাসা। আব্দুল্লাহ বিন আমর মসজিদ মুসল্লিদের কাছে কুরআন ও হাদিসের আলোকে তুলে ধরেন খতিব মাওলানা আবু তাহের।

যেসব মসজিদে বাংলা খুতবা চালু রয়েছে সেগুলো হলো— সালেহ আল ফুদালা, মসজিদ, কুয়েত সিটি, উমর বিন খাত্তাব (রা.) মসজিদ, গাতা-০৫ ফরওয়ানিয়া,আব্দুল্লাহ বিন আমর মসজিদ, গাতা-৪ রুমোতিয়া, নাদী ফুরুসিয়া মসজিদ, কাবাদ চেবদী,উসমান বিন আফফান মসজিদ, আমগারা, শাবরা ত্বামী, গাতা-০৯ সুলাইবিয়া, সালেহ আল নামাশ মসজিদ, জাহারা দুম্বা বাজার, আতিকী মসজিদ, সুলাইবিয়া, মারজুক মুতাদ মুতাইরী মসজিদ,সাদ আব্দুল্লাহ, মসজিদ রহমান, জাহারা সানাইয়া, ফেরদাউস মসজিদ, গাতা-০২ মাহবিল্লা, মসজিদ নূর, সামলি রোড় ৫ কিলো, শাবরা মসজিদ, আবদালী ৫৯ কিলো। এই মসজিদগুলো ছাড়াও বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রায় ২০টির অধিক মসজিদে জুমার নামাজে বাংলা খুতবা পাঠ করা হয়।

 

বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সালমিয়া অঞ্চলে রুমোতিয়া শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক মিয়া বলেন, কুয়েতের সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কুয়েতের যে অঞ্চলগুলোতে যেই দেশের নাগরিক বেশি বসবাস করেন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে ওই ভাষায় দুই ঈদের নামাজ এবং জুমার নামাজে খুতবা পাঠের অনুমতি দিয়ে থাকে কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয়।

 

রুমোতিয়া আরবী আবাসিক এই এলাকা এবং আশপাশের এলাকায় অনেক বাংলাদেশি বসবাস করে। সালুয়া, সালমিয়া, বয়ান, মিশরেফ এলাকা হতে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে আসেন। ছুটির দিনে ভাই বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিলিত হয়ে নামাজ আদায় করেন। একে অন্যের সঙ্গে সুখ-দুঃখের ভাব বিনিময় করার সুযোগ হয়।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন।