সিলেট ২৯শে জুন, ২০২২ ইং | ১৫ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২২
ওসমানীনগর প্রতিনিধি:
সিলেটের ওসমানীনগরে মাদরাসার এক শিশুশিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই মাদরাসার সুপারকে ৩০বার কান ধরিয়ে উঠবস করিয়ে এবং ২২ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়।
উপজেলার সাদিপুর ইউপির নূরপুর হাফিজিয়া সুন্নিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত মো. আব্দুল কাদির সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লন্তীরমাটি গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে এবং ওই মাদরাসার সুপারেন্টেন।
এদিকে, কান ধরিয়ে উঠবস করানোর আড়াই মিনিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ওসমানীনগর উপজেলাসহ সিলেটজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
সচেতন মহলের অভিযোগ- ঘটনার পর অভিযুক্তকে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত না করে সালিশ-মিমাংসার মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা করেন মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট এবং স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। এছাড়া এই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরপুর হফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ১১ বছরের এক আবাসিক ছাত্রকে গত শনিবার দুপুরে জোরপূর্বক বলৎকার করেন মাদরাসা সুপার আব্দুল কাদির। ওই ছাত্র বাড়িতে গিয়ে অসুস্ত হয়ে পড়ে এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। পরে তার পিতা মাদরাসা কমিটির কয়েকজনকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পরে নির্যাতিত শিশুকে তার পিতার মাধ্যমে উপজেলার তাজপুরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। অপরদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িগড়ি করে গত রোববার মাদ্রাসা কমিটিসহ গ্রামের কয়েকজন মাদ্রাসার অফিসে সালিশের আয়োজন করেন। সালিশে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদিরকে সবার সম্মুখে ৩০ বার কান ধরে উঠবস করানো হয় এবং ২২ হাজার টাকা জারিমানা আদায় করা হয়। সে টাকা চিকিৎসার জন্য শিক্ষার্থীর পিতাকে প্রদান করা হয়। পরে খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে, কান ধরে উঠবস করার ধরার ঘটনাটি উপস্থিত জনতা মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
সালিশে অংশ নেন নুরপুর গ্রামের ইয়াওর আলী, আবিদ উল্যাহ, আফতাব হুজুর ও তজমুল আলীসহ আরো কিছু লোক।
সালিশকারী নুরপুর গ্রামের ইয়াওর মিয়া বলেন, মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর আমরা কমিটির সবাই মিলে সাময়িক বরখাস্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদিরের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বারে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নির্যাতিত শিশুর পিতা মামলা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্য্যালয়ঃ উত্তর বাজার,কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট । মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২ ইমেইলঃagamiprojonma@gmail.com