সিলেট ২৯শে জুন, ২০২২ ইং | ১৫ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২২
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সড়ক ও বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে অর্ধশতাধিক মরা গাছ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্তমান ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে প্রায় প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক কাল বৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে অনেকের ঘরবাড়ি ভাঙচুরসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। উপজেলার আমবাড়ি-দোয়ারাবাজার সড়ক, পান্ডারখাল বাঁধ ও দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলা সদরের অনেক জনাকীর্ণ স্থানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অর্ধশতাধিক গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। কখন কার উপর ভেঙে পড়বে বলা যায়না। এসব ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয়ভাবে এগুলো অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হলে তখন উল্টো প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
সরেজমিনে আমবাড়ি-দোয়ারাবাজার সড়কের মান্নারগাঁও গ্রামে দেখা যায়, সড়কের পাশে ৫-৭টি শুকনো মরা গাছ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এর নিচ দিয়েই যানবাহন ও পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ইতোমধ্যে অনেক গাছের ডালপালা ভেঙে যাওয়াসহ অনেক গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে। এগুলোর নিচে বসে খেলাধুলা করছে কোমলমতি শিশুরা! একই অবস্থা দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আঙিনায়। অনেক গাছ মরে শুকিয়ে গিয়ে শ্যাওলা জমেছে।
আলীপুর গ্রামের মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘কদিন আগে হাসপাতাল আঙিনায় বাতাসে একটি মরা গাছের বড় ডাল ভেঙে পড়ে। এসময় এক পথচারী অল্পের জন্য রক্ষা পান।’
সিএনজি চালক রিপন মিয়া বলেন, ‘আমবাড়ি-দোয়ারাবাজার সড়কে গাড়ি চালাতে ভয় লাগে, কখন জানি গাছ ভেঙে উপরে পড়ে।বাধ্য হয়েই ওই সড়কে আমাদের চলাচল করতে হয়।’
আমবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আসাদুর রহমান ইজাজ বলেন, ‘সড়কের পাশে মরা গাছের নিচে অনেকেই বসে আড্ডা ও খেলাধুলা করে। প্রতিদিনই শিক্ষার্থী ও পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এসব গাছ দ্রুত অপসারণ করা জরুরী।’
মান্নারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ইজ্জত আলী তালুকদার জানান, ‘আমবাড়ি-দোয়ারাবাজার সড়কের ঝুঁকিপুর্ণ মরা গাছগুলো অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে আমি লিখিতভাবে আবেদন জানাব।’
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সালেহীন খান বলেন, ‘শীঘ্রই হাসপাতাল আঙিনার ঝুঁকিপূর্ণ শুকনো মরা গাছ অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা ফরেস্ট অফিসের রেঞ্জ অফিসার চয়ন ব্রত চৌধুরী জানান, ‘সড়কের পাশে সরকারি জমির গাছ সাধারণত এলজিইডি অথবা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে। আমরা শুধু সামাজিক বনায়নের গাছগুলি দেখাশোনা করি। তবে সরকারি উন্নয়ন কাজে এসব গাছ অপসারণ করার অনুমোদন আমরা করে থাকি। পুরাতন ঝুঁকিপুর্ণ গাছ ও শুকনো মরা গাছ অপসারণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি নিলামের মাধ্যমে সেগুলো অপসারণ করে থাকে।’
দোয়ারাবাজারের নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা জানান, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ মোহাম্মদ আফছার খান সাদেক
সম্পাদকঃ মিলাদ মোঃ জয়নুল ইসলাম
প্রকাশনালয়ঃ রিপোর্টার লজ, কসবা, বিয়ানীবাজার, সিলেট ।
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্য্যালয়ঃ উত্তর বাজার,কেন্দ্রিয় মসজিদ মার্কেট (২য় তলা), বিয়ানীবাজার, সিলেট । মোবাঃ ০১৮১৯-৬৫৬০৭৭, ০১৭৩৮-১১ ৬৫ ১২ ইমেইলঃagamiprojonma@gmail.com