পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি:
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে রংপুরের পীরগাছায় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মূল অভিযুক্ত ফারুক হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক মো. আবু হেনা সিদ্দিকী আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার অনন্তরাম কসাইটারী এলাকায় দেলোয়ারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অভিযুক্ত ফারুক হোসেন পলাতক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের চার দিনের মাথায় মঙ্গলবার ভোরে প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ফারুকের দেখানো ঘটনাস্থল পীরগাছার অনন্তরাম এলাকায় একটি পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ফারুক হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে খুনের নেপথ্যের কারণ জানান তিনি।
দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে গত রমজান মাসে ফারুক হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তিন সন্তানকে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ফারুক হোসেন। এতে দেলোয়ারের প্রতি তার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই দেলোয়ারকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। জবানবন্দি শেষে আদালত ফারুকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফারুক মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি দেলোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে অনন্তরাম কসাইটারী এলাকার দেলোয়ারে হোসেনকে প্রতিবেশী ফারুক হোসেন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে কুড়ারপাড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে দেলোয়ারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ফারুক হোসেনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত সাত-আটজনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন।