প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চান ড. ইউনূস

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ণ
চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা চান ড. ইউনূস

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

বাংলাদেশ থেকে চুরি যাওয়া শত শত বিলিয়ন ডলারের অর্থ ফেরত আনতে বিদেশি বন্ধুদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনার সময় তিনি এ‌ সহায়তা চান।

 

প্রধান উপদেষ্টা এদিন জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারি ও বিশেষ কার্যবিষয়ক মন্ত্রী ওলফগ্যাং শমিড, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েটংতার্ন শিনাওয়াত্রা, সুইস ফেডারেল কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান ইগনাজিও ক্যাসিস, দুবাই সংস্কৃতি ও শিল্প কর্তৃপক্ষের চেয়ারপারসন শেখা লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স চিসেকেদি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জলবায়ু দূত জন কেরি এবং যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ আরও অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

 

প্রধান উপদেষ্টা শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, থিঙ্ক ট্যাংক, সাংবাদিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বৈশ্বিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তারা যেন শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনকালে কীভাবে দিনের আলোয় সম্পদ লুট হয়েছে তা উদঘাটন করতে পারেন।

 

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

 

জার্মান মন্ত্রী ওলফগ্যাং শমিডকে লুৎফে সিদ্দিকী চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়ে অবহিত করেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে একটি অ্যাসেট রিকভারি কমিটি ও টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে শীর্ষ ২০ মানি লন্ডারারের সম্পদ উদ্ধারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

জার্মান মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস বলেন, আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন পরিষ্কার বাংলাদেশের কথাও বলি। তিনি জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।

জার্মান মন্ত্রী জানান, একটি নতুন জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করবে।

সুইস ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু অর্থায়নসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ড. ইউনূস বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে কার্বন সংরক্ষণ উদ্যোগে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স চিসেকেদির সঙ্গে বৈঠকে জানা যায়, বেলজিয়ামের একটি প্রিন্সের নেতৃত্বে চালু হওয়া মাইক্রোক্রেডিট কর্মসূচির মাধ্যমে কঙ্গোর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলের পরিধি দ্বিগুণ হয়েছে।

 

থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েটংতার্ন শিনাওয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান চায়। কারণ প্রতিনিয়ত আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের যুবকদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

Sharing is caring!