হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল থেকে উধাওয়ের ৫ ঘন্টা পর উদ্ধার হয়েছে এক নবজাতক।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের স্ক্যানো ওয়ার্ড থেকে হারিয়ে যায় শিশুটি।
দুপুরে হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ড থেকে উদ্ধার হয় ওই নবজাতক। ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত নাকি ভুলবশত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা যায়, সোমবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মডুরা গ্রামের ফেরদৌস আরা। ভোরে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। নবজাতকের ঠান্ডাজনিত সমস্যা থাকায় সকাল ৭টার দিকে নবজাতককে ভর্তি করা হয় স্ক্যানো ওয়ার্ডে। কিন্তু ৯টার দিকে খোঁজ নিলে জানা যায় নবজাতক নিখোঁজ। খবর পেয়ে নবজাতকের স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসলে দেখা দেয় উত্তেজনা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এদিকে, বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নবজাতককে।
অপরদিকে, মঙ্গলবার সকালেই হাসপাতালে কন্যা নবজাতকের জন্ম দেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মাসুম চৌধুরী ও আকলিমা বেগম দম্পতি। তাদের শিশুও ছিল স্ক্যানো ওয়ার্ডে। তাদের দাবি নার্স ভুলবশতঃ তাদের কন্যা শিশুর বদলে পুত্র শিশুটি তাঁদের কাছে দিয়েছিল। যে কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পরে তারা নিজেরাই বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন বলেও জানান তারা।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, হাসপাতাল থেকে শিশু নিখোঁজ ও উদ্ধার হওয়ার ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদেন্তর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার জানান, পুরো ঘটনাটি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে। ভবিষ্যতে যাতে করে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।