আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটের মানুষ শহর থেকে গ্রামে ধর্মপ্রাণ। রমজান মাস এলে ধর্মের প্রতি এখানকার মানুষের টান আরেকটু বেড়ে যায়।
রমজানের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে ইফতার। আর ইফতারে সিলেটের একান্ত আপন ঐতিহ্য হচ্ছে ‘খিচুড়ি’। সিলেটে যা ‘পাতলা খিচুড়ি’ নামে পরিচিত।
ইফতারিতে যত বাহারি আইটেমই থাকুক না কেন, সিলেটের রোজাদাররা খিচুড়ি ছাড়া যেন শান্তি পান না। আমার মায়ের হাতের সেই পাতলা খিচুড়ি আজ অতীত।
রমজানে প্রতিদিন সিলেটের সর্বত্রই ইফতারিতে খিচুড়ি রান্না করা হয়। সুগন্ধি চিকন চালের সঙ্গে গাওয়া ঘি, কালিজিরা ও মেথি সহ নানা জাতের মসলা দিয়ে রান্না করা হয় খিচুড়ি। স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য অনেকেই খিচুড়িতে শাকসবজি কুচি করে মিশিয়ে থাকেন। অনেকেই আবার খিচুড়ির সঙ্গে গরু বা মুরগির মাংস, ছোলা প্রভৃতিও মিশিয়ে থাকেন। তবে সাধারণ চাল দিয়েও খিচুড়ি রান্না করতেন মা ।
সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে খিচুড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে চিকিৎসকদের অভিমত।
রমজানে সারাদিন অভুক্ত থাকার পর খিচুড়ির মতো নরম খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ভাজা পোড়া না খেয়ে রমজানে ইফতারিতে খিচুড়ি খেলে অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা কিংবা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা হবে না।
সিলেটে আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে অতিথি হিসেবে গিয়ে ইফতার করার রেওয়াজ বহু পুরনো। এসব অতিথির জন্যও ইফতারিতে খিচুড়ি রান্না করা হয়। এছাড়া আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে ইফতার পাঠানোর ক্ষেত্রেও খিচুড়ি থাকাটা যেন বাধ্যতামূলক।
সিলেট নগরী সহ বিভিন্ন এলাকায় রমজানে যেসব অস্থায়ী ইফতারির দোকান বসানো হয়, সেগুলোতেও খিচুড়ি রাখা হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন।