প্রজন্ম ডেস্ক:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স এরই মধ্যে পাঁচ মাস পার হয়ে গেছে। ব্যতিক্রমী এই সরকার কত দিন দায়িত্ব পালন করবে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে, কবে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে—এ প্রশ্ন এখন সবার। বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে না থাকা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগে মন্দা, প্রশাসনে অস্থিরতা, পরাজিত শক্তির নানা অপকৌশল—এসব নানা কারণে সরকারের ওপর দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার চাপ প্রবল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও চাপ বাড়ছে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, ‘দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে।’ বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিএনপির পক্ষে বলা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জামায়াতের বক্তব্য, ‘অতি জরুরি সংস্কারগুলো সাধন করে বর্তমান সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে যাঁর যাঁর জায়গায় চলে যান।
’ সরকার চাইলে চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মনে করছে ছয়টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। সিপিবিও রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে বলে আশা করছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে। গতকাল ভারতের সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে বলেছেন, দুই দেশের পারস্পরিক সার্বিক সম্পর্ক তখনই স্বাভাবিক হবে, যখন সে দেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত শুক্রবার কলকাতায় ভারতে বিদায়ি মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠকে বসেন। এতে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। কিভাবে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা যায়, কিভাবে নির্বাচন আয়োজন সহজ হয় সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়।’
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুসারে এই মাসেই অথবা আগামী মাসের শুরুতেই গঠন হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’। এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধানরাও জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনে থাকবেন। গত ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই পরিকল্পনার কথা জানান।
এই কমিশনের মাধ্যমে সংস্কারের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করার চেষ্টা হতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথনকশাও ঘোষণার সিদ্ধান্ত হতে পারে।
গত ৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সংস্কারসাপেক্ষ। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করব। এই প্রক্রিয়ায় প্রবেশের পর রাজনৈতিক দলগুলো আসলে ঠিক করবে কতটা সংস্কার চাই। ওই সংস্কারের মেয়াদ বা পরিধির ভিত্তিতে আমি মনে করি নির্বাচনের তারিখ ঠিক হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’
সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। তাঁকে বলা হয়, গত ১৫ বছরে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার, ব্যবসাসহ রাষ্ট্রের নানা ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। এটাকে একটি স্বাভাবিক জায়গায় আনতে তো সময় লাগবে। এর জবাবে জেনারেল ওয়াকার বলেন, ‘এটার জন্য রাজনৈতিক দল ও সরকার লাগবে। রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। রাজনীতি ছাড়া ও রাজনৈতিক সরকার ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’
গত রবিবার নির্বাচন ভবনে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী ইসির ১৪তম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রি জে (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। ইসি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।’
কবে হতে পারে নির্বাচন
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ওয়েবসাইটে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে ১৮ মাস বা দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো পরিস্থিতিতে পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
এরপর গত ১৭ অক্টোবর চ্যানেল আইয়ের ‘আজকের পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করাটা হয়তো সম্ভব হতে পারে।’
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময় তুলে ধরেন। তিনি চলতি বছরের শেষ দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের কথা বলেন। পরদিন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব জানান, ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানায়। গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা বা অন্তর্বর্তী সরকার যখন চাইবে তখনই নির্বাচন করতে প্রস্তুত ইসি।’
ওই দিন সিইসি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ইন্ডিকেশন দিয়েছেন সেটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আমাদের যারা স্টেকহোল্ডার, রাজনৈতিক দল—তারাও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তরের কথা বলেছে। কাজেই আমরা সংসদ নির্বাচনের কথা ভাবছি।’
নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্ভাব্য নতুন ভোটার এবং বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহের সময়ও এগিয়ে এনেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে আগে বলা হয়েছিল, ২০২৫ সালের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই তথ্য অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ২০২৬ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। গত ২ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এই পরিকল্পনার কথা জানান। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এক পরিপত্রে জানানো হয়, ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশে টানা দুই সপ্তাহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরই জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা থেকে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে রাখতে চায়।
দলগুলো যা বলছে
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেই কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচন দিতে হবে। এই কাজ করতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। তবে অন্তর্বতী সরকার যা-ই করুন, নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যে হতে হবে। এ বিষয়ে অন্য কোনো ভাবনা থাকা উচিত নয়।
টুকু বলেন, দেশে এখন নানা সংকট চলছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নয়। দেশে নতুন কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। দ্রুত নির্বাচন না হলে এই সংকটগুলো বাড়তে থাকবে।
গত ১১ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারেই সমর্থন করছি। তবে দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়, রাজনৈতিক অবস্থাও ভঙ্গুর। আমরা সংস্কার চাই না, এটা ভুল। আমরা সংস্কারও চাই, দ্রুত নির্বাচনও চাই। কারণ নির্বাচন হলে সব সংকট কেটে যাবে।’
গতকাল রাজধানীর মগবাজারে নিজ দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের এখন মূল বিষয় হচ্ছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সংস্কার চাই। তবে সংস্কারের কোনো আলামত দেখছি না। ছয় মাসে কোনো দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আশানুরূপ সংস্কারকাজে অগ্রগতি না হওয়ায় জাতি হতাশ। জাতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনেক কিছু আশা করেছিল। আমি মনে করি, তারা অপারগ। তাদের সেই দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও কর্মস্পৃহা নেই। এভাবে চলতে থাকলে বর্তমান সরকার জনরোষে পড়বে। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টারা ঠিকমতো তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চলছে।’
গত ৩ জানুয়ারি নাটোর শহরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই, অতি জরুরি সংস্কারগুলো সাধন করে বর্তমান সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে তাঁরা যাঁর যাঁর জায়গায় চলে যান। এই নির্বাচনে জনগণ যাঁকে ভালোবাসেন, যাঁর ওপরে আস্থা রাখতে পারবেন, যাঁদের দেশের দায়িত্বটা দিলে দেশের মানুষকে সম্মান করবেন, ভালোবাসবেন, তাঁদের বেছে নেবেন। দেশের মানুষের আমানত যাঁরা শ্বশুরবাড়ির নিয়ামত মনে করবেন না, প্রতিটি আমানতের পাই পাই করে হিসাব রাখবেন, তাঁদেরই তাঁরা বেছে নেবেন।’
সরকার চাইলে চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক। তিনি বলেন, এরই মধ্যে সরকার নির্বাচনের বিষয়ে একটি ধারণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই নির্বাচন হচ্ছে বলে আশা করা যায়। তবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য প্রয়োজন। সংস্কার কমিশনগুলো প্রতিবেদন দেওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। যেসব বিষয়ে মতবিরোধ আছে, সেগুলো বাইরে রেখে ন্যূনতম ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সংস্কার এবং সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার কমিশনগুলো কাজ করছে। সংস্কার কমিশনে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সঙ্গে কতগুলো বিষয়ে ঐকমত্য আছে। নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলা এবং নির্বাচনকে কালো টাকা, পেশিশক্তি ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করার মতো বিষয়গুলো সংস্কার প্রস্তাবে থাকবে আশা করি। প্রস্তাবগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাবে বলে আমরা আশা করছি।
এদিকে নির্বাচনী মাঠে বরাবরই তৎপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এখনো সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে অটল। গত ১১ জানুয়ারি বরিশাল মহানগর সম্মেলনে দলের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা একটি টেকসই সমাধান চাই, আমাদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চাই। এ জন্য আগামী নির্বাচন হতে হবে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে।’
Sharing is caring!