প্রজন্ম ডেস্ক:
উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দুই আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, তবে ২০২২ সালে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে আইন করা সম্ভব হবে না। সংসদের আগামী বা তার পরের অধিবেশনে এই আইন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল ২০২১ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধী সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের আলোচনায় বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন ও ইসি নিয়োগে আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
হারুন বলেন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। বিচারপতি নিয়োগে আইন হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইসির মেয়াদ শেষ হবে। এখনো নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন হয়নি।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, সরকার কি ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চাইছে? জনগণ সেটা মেনে নেবে না। তিনি ইসি নিয়োগে আইন করার দাবি জানান। একই দাবি জানান জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারক নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত দুটি আইনের খসড়া করা হচ্ছে। সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রতিনিধিরা তাকে ইসি গঠনে একটি আইনের খসড়া দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এতে সবই আছে। এখন অধ্যাদেশ জারি করলেই হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘তখন আমি পরিষ্কার করে বলেছি, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই আইন সংসদে আলোচিত না হওয়া পর্যন্ত, তা করা ঠিক হবে না। এতে আমি বোধ হয় সংসদ সদস্যদের সম্মান কমাইনি, বাড়িয়েছি। আমি মনে করি, এটা সংসদে আলোচিত হওয়া উচিত। আমার পরিকল্পনা (চলতি সংসদের) পরের সংসদ বা তার পরের সংসদে আমরা এটা আলাপ করব। কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ তাড়াহুড়ো করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলেই আমি বলেছি। সেজন্য আমি আশ্বস্ত করিনি। তবে দুটোই আমরা করার চেষ্টা করছি।’
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধান সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।
কিন্তু সংবিধানের আলোকে ওই আইন না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়। সেই জটিলতা এড়াতে গত দুইবার সার্চ কমিটির ব্যবস্থা হলেও বিতর্ক থামেনি।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ইসি গঠনের জন্য আইনের একটি খসড়া তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনটি হয়নি।
সংবাদটি শেয়ার করুন।