গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা:
সিলেটের গোলাপগঞ্জে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৪ জনকে। তারা আন্তঃ জেলা ডাকাতদলের সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে ১৮ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
আটকরা হচ্ছে- বিয়ানীবাজারের নন্দিরফল গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে সাইফুল ওরফে ছয়ফুল (৩২), সিলেটের জালালাবাদ থানার আলী নগর নোয়াগাও গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে ফয়জুল (৩৬) এবং হেংলাকান্দি নোয়াগাও গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে সিলেট নগরীর মহাজন পট্টি থেকে ছয়ফুলকে আটক করা হয়। একই দিন পৃথক অভিযানে দক্ষিণ সুরমার দরিয়াশাহ মাজার গেইট থেকে আটক করা হয় ফয়জুল ও ইয়াকুব আলীকে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত স্কু ড্রাইভার, টর্চ লাইট, মানকি ক্যাপ, প্লাস, সেলাই রেঞ্জ ও চাকু জব্দ করা হয়। তাছাড়া ৩ জনের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া টাকার মধ্য থেকে ২ হাজার ৯১০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে, আজ বুধবার দুপুরে আরো এক ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি গোলাপগঞ্জে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের রণকেলী নুরুপাড়া এলাকার যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিরাজ মিয়ার বাড়িতে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে ৭-৮ জন মুখোশধারী ডাকাতদল দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তাদের বাঁধা দিলে প্রবাসী সিরাজ মিয়ার ছোট ভাই জহির উদ্দিনকে ধারালো দা ও রড দিয়ে আঘাত করে ডাকাতরা। এতে তার হাতে ও পায়ে গুরুতর জখম হয়।
ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাকি পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে এবং পরিবারের শিশুদের মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে লুটপাট চালায়। তারা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ৩টি মোবাইলসহ ১১ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানার মামলা দায়ের করেছেন প্রবাসী সিরাজ মিয়ার ছোট ভাই জহির উদ্দিন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্যা জানান, প্রবাসীর বাড়িতে ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে একজনের নাম এখনই বলা যাচ্ছে না। তিনি জানান, আটককৃত ডাকাতরা সংঘবদ্ধ আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। সাইফুলের নামে ১৫ টি এবং ফয়জুলের নামে ৩ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
Sharing is caring!