প্রজন্ম ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ আপাতত রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও থেমে নেই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা। দলগুলোর মধ্যে নানামুখী তৎপরতার পাশাপাশি নানা টানাপোড়েনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলোর বিপরীতমুখী তৎপরতার বিষয়টি সম্প্রতি সামনে এসেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব ও রাজনৈতিক বাহাসের বিষয়টি ইতোমধ্যে জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। ১৯৯৯ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপি একসঙ্গে পথ চললেও কিছু ইস্যুতে এখন দুটি দলের মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি রাষ্ট্র সংস্কার ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে এই দূরত্ব আরও বেড়েছে।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির দ্বন্দ্ব হয়েছে নানা ইস্যুতে। ডাকসুসহ ছাত্র সংসদ নির্বাচন, জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়ার উদ্যোগ, আগে সংস্কার নাকি নির্বাচন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। তবে বিএনপির নীতিগত সিদ্ধান্ত হলো অন্তর্বর্তী সরকার, জামায়াতে ইসলামী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্ব, এই তিনটি পক্ষের সঙ্গে এ মুহূর্তে কোনো বিরোধ বা বিবাদে তারা জড়াবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। কোনো মনোমালিন্যও নেই। আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। কিন্তু তারা নির্বাচনের ও সংস্কার নিয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে কেন দেরি করছে?’
এদিকে গত সাড়ে ১৫ বছর বিএনপির মিত্র দলগুলো যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিল, সে রকম ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার ‘সুর’ শোনা যাচ্ছে না। গণফোরামের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বিএনপির সঙ্গে সব ইস্যুতে এক সুরে কথা বলছেন না। ঠিক তেমনি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বিএনপির সব বিষয়ে একমত হতে না পেরে জোট থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন। তবে ১২-দলীয় জোট, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বিএনপির ঐক্য এখন পর্যন্ত অটুট রয়েছে।
এদিকে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রদের দিকে ‘ঝোঁক’ থাকলেও এখনো রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেনি। কারণ নির্বাচনে জয়লাভ করতে গেলে তাদের নির্বাচনি এলাকায় বিএনপির সহায়তা লাগবে। নুরের অনুরোধে ইতোমধ্যে তার সম্ভাব্য আসনে (পটুয়াখালী-৩) দলীয় নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি চিঠি দিয়েছে।
বিএনপির সঙ্গে সরকারের দ্বন্দ্ব
জানা গেছে, সরকার ও বিএনপির মধ্যে দূরত্বের মূল কারণ হলো নির্বাচনের সুস্পষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা না করা। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র বিনির্মাণের ক্ষেত্রে ঠিক কতটা সংস্কার করা হবে, তা নিয়েও সরকারের সঙ্গে বিএনপির সন্দেহ-অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’ (ঘোষণাপত্র) তৈরি এবং সংবিধান বাতিলসংক্রান্ত বক্তব্য নিয়েও দ্বিমত স্পষ্ট হয়েছে। যদিও বিএনপির আপত্তির কারণে ওই ঘোষণাপত্র শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যু ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার না হওয়ার কারণেও সরকারকে সন্দেহ করছে বিএনপি। এ ছাড়া সংস্কার নাকি নির্বাচন কোনটি আগে হবে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা, রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে দ্বিমত, ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৭ বছর করার উদ্যোগ নিয়েও বিএনপির আপত্তি রয়েছে। পাশাপাশি জামায়াতের সঙ্গে সরকার ও বৈষম্যবিরোধীদের সখ্য বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। দলটির নেতাদের মতে, ছাত্রদের নতুন দল গঠনের নেপথ্যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা থাকতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দখল ও চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি ইস্যুতে বিএনপির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ছাত্র নেতৃত্ব এবং সরকারের একাধিক উপদেষ্টা। এসব ইস্যুতে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এখনো অব্যাহত আছে। সব মিলিয়ে সম্পর্ক সম্প্রতি কিছুটা জটিল হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণকে গত ১৬ বছরের ভোটের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। এখানে কেউ যদি ভিন্ন পথে চলতে চায়, তাহলে তাদেরও সঠিক পথটা বেছে নিতে হবে। তাদের সঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করছে বিএনপি। এখানে দূরত্ব তৈরি হওয়ার মতো কিছু হয়নি।
জামায়াত-বিএনপি দ্বন্দ্ব
গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নানা ইস্যুতে দীর্ঘ ২৬ বছরের মিত্র জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব স্পষ্ট হয়েছে। দল দুটির নেতারা প্রকাশ্যে বাহাসে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের এই দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ পাচ্ছে নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতিতে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিএনপিসহ তার মিত্র দলগুলো দ্রুততম সময়ে ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। তবে জামায়াত ‘আগে ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার ও পরে নির্বাচনে’র কথা বলছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও বিএনপির চেয়ে জামায়াতের প্রভাব বেশি ছিল বলে দেশের রাজনীতিতে আলোচনা আছে। বিএনপির ভেতরে আলোচনা হলো সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও উচ্চ পদে বিএনপির চেয়ে জামায়াত ঘরানার ব্যক্তিরা বেশি নিয়োগ পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ অনেক জায়গায় তারাই বসেছেন। পাশাপাশি জামায়াত জুলাই অভ্যুত্থানের বড় শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করছে বলে মনে করে বিএনপি। এসব কারণেই বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে জামায়াতকে উদ্দেশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনাদের একাত্তরের অর্জন কী? আপনারা একাত্তরের বিরোধিতা করেছেন। ইসলাম মানে কি বারবার মোনাফেকি করা?
জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে অবশ্য রিজভীর এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন বিষয়ে অতিমাত্রায় কথা বলছে। তারা ধৈর্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ত বেশি। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে জামায়াতের হয়ে কাজ করছে।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সরকার ও ছাত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় জামায়াত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা আদায় করছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় জামায়াতের লোকদের পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে দখল, চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে জামায়াত রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে বিএনপির মধ্যে আলোচনা আছে। জানা গেছে, এসব বিষয়ে একধরনের শীতল সম্পর্ক চলছে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে।
তবে এসব বিষয় মানতে নারাজ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাদের (জামায়াত) সঙ্গে বিএনপির কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। বিএনপির বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। রাজনৈতিক অন্য দলগুলোর সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রয়েছে, বিএনপির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বক্তব্য দিয়ে থাকে, এটার তার ব্যক্তিগত মতামত। এটা নিয়ে আমাদের কিছু আসে-যায় না। দুই দলের সম্পর্কের ওপরও কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে জনগণ ঠিক করবে কোনটা সঠিক। তা ছাড়া নির্বাচনের সমীকরণ কী হবে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে যেসব ইস্যুতে দ্বন্দ্ব
রাষ্ট্রপতির অপসারণ, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হামলার অভিযোগ, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ও সংবিধান বাতিল ইস্যু, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবি, ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে ছাত্রদলের সংলাপে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরকে না ডাকাসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে বিএনপির সন্দেহ-অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তবে বিএনপির বিরোধিতার কারণে ছাত্ররা কোনোটিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এ ছাড়া নির্বাচনের সুস্পষ্ট রূপরেখা বা দিনক্ষণ ঘোষণা করার নেপথ্যেও ছাত্রনেতাদের ভূমিকা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃত্বের ব্যানারে ছাত্রশিবিরের নেতারা থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে বিএনপি। অবশ্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেওয়ায় ছাত্র নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির মিত্রদের মধ্যেও নানা তৎপরতা
এদিকে ৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে বিএনপির মিত্রদের মধ্যে নতুন সমীকরণের কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে জামায়াত দেশের ইসলামী দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ৬টি দল নিয়ে জোট গঠনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া বিএনপির মিত্র গণতন্ত্রে মঞ্চের শরিক গণসংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও বিএনপির কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে ভবিষ্যৎ রাজনীতির কথা চিন্তা করে ছাত্র নেতৃত্বের জোটের সঙ্গে যোগ দিতে চাইছেন গণসংহতির জোনায়েদ সাকী ও তার দল। সংগঠনটি মনে করছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে থেকে হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের দল রাজনীতিতে গুরুত্ব হারিয়েছে। সাকী রাজনীতিতে গতিশীল থাকার লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। পাশাপাশি গণ অধিকার পরিষদের ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগ্রহ রয়েছে। নুরের দলেরই একটি অংশ আবার বিএনপির সঙ্গে থাকতে আগ্রহী। এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের নেতাদের ওপর সারা দেশে বিএনপির হামলা, দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগের কারণে অনেকেই বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করতে চাইছেন। সম্প্রতি গাজীপুরে নাগরিক ঐক্যর অফিস ভাঙচুর ও নেতাদের মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিএনপির বিরুদ্ধে।
নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর নতুন রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ হবে এটা স্বাভাবিক। সবার মধ্যে ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়া চলবে। কেউ একদিকে যাবে আবার কেউ অন্যদিকে যাবে। তবে দেখতে হবে গণতন্ত্রের পক্ষে কারা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে। তবে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে হামলা এবং নেতাদের ওপর আক্রমণ নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চ পরিষদ সদস্য আবু হানিফ বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম। কিন্তু তাদের সঙ্গে নির্বাচনি জোট হয়নি। তাদের সঙ্গে আসন নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃত্বের আদর্শ ও নীতির সঙ্গে আমাদের অনেক মিল রয়েছে। আমাদের অনেক সাবেক নেতা এর সঙ্গে জড়িত। তাই দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করেই ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গেই আছি এবং থাকব।’
গণতন্ত্রের মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নানা বিষয়ে মঞ্চের শরিকদের মধ্যে বোঝাপড়া চলছে। তবে বেরিয়ে যাওয়ার মতো মতপার্থক্য হয়নি। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে শরিকদের ওপর হামলার বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ডকে জানিয়েছি। আমরা তৃণমূলের ছোট-খাটো ঘটনা যাতে বড় আকার ধারণ না করে সেদিকে খেয়াল দিতে বলেছি। কারণ এতে বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে।’
Sharing is caring!