প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

‘দুলাভাই’ বলায় ইউএনও অফিসে হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই ইউপি চেয়ারম্যান

admin
প্রকাশিত
‘দুলাভাই’ বলায় ইউএনও অফিসে হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই ইউপি চেয়ারম্যান

 

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়াম্যানের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনওর কক্ষের পাশে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার (৬০) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও দাসপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেনের (৬২) মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘আমি পরিষদে এসে যা শুনেছি তা হলো দাসপাড়ার জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় কনকদিয়ার চেয়ারম্যান শাহিন চেয়ারম্যান রুম থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’

ইউএনও কার্যালয়ের কয়েকজন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ইউএনওর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নুরুল হকের কক্ষে বসেছিলেন। এসময় দাসপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ওই কক্ষের সামনে দিয়ে ইউএনওর কক্ষের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন জাহাঙ্গীর হোসেন শাহিন হাওলাদারকে সালাম দেন। শাহিন হাওলাদার তাকে (জাহাঙ্গীর) বলেন, শালা যাও কই? উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, দুলাভাই সামনে যাবো। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনওর কক্ষ থেকে বের হয়ে জাহাঙ্গীরকে বলেন, ‘আমি তোর কেমন দুলাভাই’।

একথা বলে জাহাঙ্গীরকে থাপ্পড় মারেন শাহিন। এনিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন ইউএনও কক্ষ থেকে বের হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। খবর পেয়ে উপজেলা চত্বরে পুলিশ অবস্থান নেয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও দাসপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে ইউএনও মো. আল আমিন বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ শিখবে। সেখানে দুইজন চেয়ারম্যানের এরকম আচরণ খুবই দুঃখজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। চিৎকার শুনে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে দুই চেয়ারম্যানকেই দুদিকে সরিয়ে দেই এবং থামানোর চেষ্টা করেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। একপক্ষের নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ। আরেক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক। শাহিন এমপি পক্ষের। আর জাহাঙ্গীর মেয়র পক্ষের।

সংবাদটি শেয়ার করুন।