সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চায়ের বিলের পাওনা ৫ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত যুবক আব্দুল জলিল আলীর (৩২) মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ৩১ অক্টোবর দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের নগদীপুর গ্রামে নিহত আলী ও একই গ্রামের রসিক মিয়ার লোকজনের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের আরও ২০ জন আহত হন। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ২ নভেম্বর নগদীপুর গ্রামের চাদফর উল্লা’র ছেলে রসিক মিয়া সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
দিরাই থানাপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের সপ্তাহখানেক আগে নিহত আলীর পক্ষের চা দোকানি মুরসালিনের সঙ্গে রসিক মিয়ার ভাই বাবুলের চায়ের বিলের পাওনা ৫ টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বাবুল চায়ের বিল দিতে অস্বীকৃতি জানালে দোকানের ভিটা মালিক একই গ্রামের পাবেল মিয়া মুরসালিনের পক্ষ নেন। এতে দ্বন্দ্ব গড়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।
সেদিন উপস্থিত লোকজন মিমাংসার চেষ্টা করলেও দ্বন্দ্বের রেশ রয়ে যায়। ওইদিন দুপুরে রসিক মিয়ার আরেক ভাই মাঝি দানিছ মিয়া ও পাবেলের চাচা মাঝি রয়েল মিয়ার মধ্যে ওই ঘটনার জের ধরে নৌকা ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। পরে বিকেলে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। গুরুতর আহত আব্দুল জলিল আলী সিলেটের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় রোববার সকালে মৃত্যুবরণ করেন।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুর রহমান সংঘর্ষে আহত হয়ে একজনের মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর ওই মামলার ১৬ আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন।