প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রেকর্ড হারের পরও ‘পিছিয়ে আছি’ মানতে নারাজ হৃদয়

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ণ
রেকর্ড হারের পরও ‘পিছিয়ে আছি’ মানতে নারাজ হৃদয়

স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের কোনটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সবশেষ ম্যাচে তো বাংলাদেশকে রেকর্ড ১৩৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে লজ্জা দিয়েছে ভারত। যেখানে আগে ব্যাট করে ভারত ২০ ওভারে তুলে রেকর্ড ২৯৭ রান। ভারতের বিপক্ষে নাস্তানাবুদ হলেও তাদের চেয়ে খুব পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ মানতে নারাজ মিডল অর্ডার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।

ভারতের শক্তিমত্তা ও স্কিলে এগিয়ে থাকলেও সেই ব্যবধানটা অনেক বেশি নয়। তাই সেখানেই উন্নতি কারতে চান হৃদয়। তবে শেষ ম্যাচে বোলারদের ওপরই বেশি দায় চাপিয়েছেন হৃদয়। টপ অর্ডার ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যর্থতাকেও সিরিজ হারের কারণ হিসেবে মনে করেন এই ব্যাটার।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয় বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, খুবই ভালো উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য। আমরা ভালো বোলিং করিনি। আমরা কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারি। আশা করি আমরা সেটা করতে পারব। আমরা তো বল ভালো করিনি। শুধু বল না, ব্যাটিংও ভালো করিনি পুরো সিরিজে। আমাদের কিছু জায়গায় ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। ওরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।’

আগের দুই ম্যাচে ১২৭ ও ১৩৫ রান করা বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচে করেছে ১৬৫–। ক্যারিয়ারসেরা ৬৩ রান এসেছে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। এরপরও হতাশ তিনি। বড় রান করতে হলে যে টপঅর্ডারকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে সে কথায় মনে করিয়ে দিলেন এই তরুণ।

বলেন, ‘দেখুন, প্রতিটা দলেই টপ অর্ডার থেকে রান হয়। সেখানে রান এলে ইনিংস বড় হয় স্বাভাবিকভাবেই। টপ ফোর থেকে যদি বড় রান আসে, তাহলে রান ১৮০ হয়। আমাদের সবকিছু মিলিয়ে অনেক জায়গা আছে উন্নতির। এই সিরিজে আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি সেটা করতে পারব।’

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘আমাদের মান যে খুব নিচে তা বলব না। আমরা তো বড় দলের সঙ্গে খেলেছি। ভারত শক্তিশালী দল। ওদের হোমে খেলা। ওদের সবকিছু ভালো। স্কিলের দিক থেকেও ওরা এগিয়ে আছে। আমরা যে খুব পিছিয়ে আছি তা বলব না। আমরা ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে খেলতে পারব, সেটা যত খেলব, তত ভালো বুঝব।’

Sharing is caring!