স্টাফ রিপোর্টার:
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হামলার শিকার হচ্ছেন বিয়ানীবাজারের প্রবাসীরা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেখানকার পর্তুগালে দু’জন প্রবাসীর উপর হামলার ঘটনায় দেশে থাকা স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ করছে। পর্তুগালে সহজ শর্তে নাগরিকত্ব পাওয়ার কারণে বিয়ানীবাজারের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সেদেশে অবস্থান করছেন। সেনজেনভুক্ত প্রায় সবদেশ থেকে প্রবাসীরা পর্তুগালের আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে পর্তুগালের গিমারেজ শহরে হামলার শিকার হয়েছেন মো. জায়েদুল ইসলাম (৩৪) নামের এক যুবক। তিনি বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার মো. আজিজুর রহমানের ছেলে। দেশে তার স্ত্রী এবং পাঁচ বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। জানা গেছে, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৪-৫ জন কিশোর তার ওপর হামলা করে। আহত অবস্থায় ওই প্রবাসী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার পিতা আজিজুর রহমান জানান, গিমারেজ শহরের প্রাসা হিরোইস ডা ফুনডাও নামক স্থানের পার্কে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন জায়েদুল।
স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত ১১টায় একদল কিশোর তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তাদের কাছে যেতে বলে। জায়েদুল কাছে যেতেই তার ওপর হামলা করা হয় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরলে রক্তাক্ত অবস্থায় কাছের পুলিশ স্টেশনে যান, সেখান থেকে পুলিশ তাকে হাসপাতালে পাঠায়।
অপরদিকে আফ্রিকান সন্ত্রাসীদের হামলায় লিসবন শহরের একটি হোটেলে কর্মরত অবস্থায় শামীম উদ্দিন (৩২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তার শরীরে একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে। বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ইউনিয়নের ছোটদেশ গ্রামে শামীমের বাড়ি।
তার বড় ভাই নাজিম উদ্দিন জানান, হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে হোটেলে চাঁদা দাবী নিয়ে আফ্রিকান কিছু যুবকের সাথে তার ভাইয়ের বিরোধ ছিল। সেখানকার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
Sharing is caring!