প্রজন্ম ডেস্ক:
বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় গতকাল মঙ্গলবার। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। তাবলীগ জামাতের দু’টি গ্রুপের ভেতরে দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাওলানা সাদ কান্ধলভি তাবলীগ জামাতে এমন কিছু সংস্কারের কথা বলছেন – যা এই আন্দোলনে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সাদ কান্ধলভি কি করেছেন বা বলেছেন – যা নিয়ে এই বিভক্তি?
সাদ কান্ধলভি বলেন, ‘ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা উচিত নয়’ – যার মধ্যে মিলাদ বা ওয়াজ মাহফিলের মতো কর্মকাণ্ড পড়ে বলে মনে করা হয়।
সাদ কান্ধলভি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের মাদ্রাসার ভেতরে নামাজ না পড়ে মসজিদে এসে নামাজ পড়া উচিত – যাতে মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়ে।’
কিন্তু তার বিরোধীরা বলছেন, সাদ কান্ধলভি যা বলছেন – তা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী
তাদের বক্তব্য, কান্ধলভির কথাবার্তা আহলে সুন্নাত ওয়া’ল জামাতের বিশ্বাস ও আকিদার বাইরে।
কান্ধলভির সমর্থকরা বলছেন,তাদের নেতার বক্তব্য বা সংস্কারের প্রস্তাব মানতে না পেরেই বাংলাদেশে সংগঠনটির কর্মকাণ্ডকে ‘রাজনৈতিক চেহারা’ দেয়া হয়েছে।
তবে সাদ কান্ধলভির বিরোধী একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতার মতে, এর মধ্যে এক কণাও রাজনীতি নেই।
ভারতীয় উপমহাদেশে সুন্নি মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন এই তাবলীগ জামাতের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। যখন তাদের মূল কেন্দ্র কাকরাইলে দুই দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এর পর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে তাবলীগ জামাতের একাংশের এক সম্মেলন হয় । এতে সাদ কান্দালভীকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মাওলানা সাদ কান্ধলভী ভারতীয় আলেম। তিনি তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হজরত ইলিয়াস শাহ (রহ.) এর নাতি।
Sharing is caring!