প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যে আতঙ্ক

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যে আতঙ্ক

স্টাফ রিপোর্টার:
অনিরাপদ হয়ে উঠেছে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক। প্রায়ই ঘটছে ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা। মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দুর্বৃত্তরা হামলে পড়ছে যাত্রীদের ওপর। এতে যাত্রাদের মধ্যে তৈরী হয়েছে আতঙ্ক। তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছে- মহাসড়ক সচল রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে সারা দেশে ৪৫০-এর বেশি ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ঢাকা-সিলেট হাইওয়েতে নরসিংদী জেলার ইটাখোলা এবং মরজালসহ অন্তত পাঁচটি পয়েন্টে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গভীর রাতে প্রাইভেটকার এবং মাইক্রোবাসে হামলে পড়ছে দুর্বৃত্তরা।

গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকা-সিলেট হাইওয়েতে নরসিংদীর রায়পুরা এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব সীমান্তে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

সম্প্রতি ডাকাতির কবলে পড়েন কুয়েতফেরত হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে দুই প্রবাসী বাড়ি যাচ্ছিলেন ভাড়া করা মাইক্রোবাসে। গাড়ি এবং চালক একই গ্রামের নূরুদ্দীন। তিনি জানান, ডাকাতেরা আমাদের মারধর করেছে। ভাঙচুর করেছে গাড়ি। ছিনিয়ে নিয়েছে যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র। বিশেষ করে ওয়ালেদ নামের প্রবাসীকে প্রচুর মারপিট করেছে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে কাঁদতে শুরু করেন তিনি।

এই গাড়ি চালক আরও জানান, ডাকাতির এক পর্যায়ে আমরা ব্রিজ পার হয়ে ভৈরব মিন্টু পাম্পের সামনে থাকা পুলিশের কাছে সাহায্য চাই। তারা বলে, ঘটনাস্থল রায়পুরা। তাদের কিছুই করার নেই। তাদের কাছে নম্বর চাই। তারা নম্বরও দেয়নি। পরে ৯৯৯-এ ফোন করি। কেউ আসে না। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি আসে। তাদের সহায়তায় আমরা রায়পুরা থানায় যাই। তাদের বক্তব্য লিখে রাখে। গত ২০ দিনে আমাদের পরিচিত আরও চারটি মাইক্রোবাসে ডাকাতি হয়েছে। নরসিংদী এলাকাতেই।

এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদ গণ্যমাধ্যমকে জানান, মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে ৬ হাজার জনবলের মধ্যে মাত্র ৩ হাজার আমাদের কাছে আছে। প্রাপ্ত জনবল দিয়েই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

Sharing is caring!