প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ওসমানী হাসপাতালে এই প্রথম হলো যে জটিল অপারেশন

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ণ
ওসমানী হাসপাতালে এই প্রথম হলো যে জটিল অপারেশন

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো তিনজন শিশু হৃদরোগীর (৬ মাস থেকে ১৮ বছর) দেহে ডিভাইস বসানো হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো মেডিকেলে এ ডিভাইস লাগানো হলো। শনিবার (৩০ নভেম্বর) মোট ৩ জন শিশুর শরীরে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তিনজন রোগীর মধ্যে ২ বছরের, আড়াই বছরের এবং ১ জন ৭ বছরের শিশু রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, হার্টের জন্মগত অস্বাভাবিক ছিদ্র বন্ধ করা, রক্তনালীর স্বাভাবিকীকরণ তথা এ.এস.ডি (অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট), ভি.এস.ডি (ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট) এবং পি.ডি.এ (প্যাটেন্ট ডাক্টাস আটারিওসাস)-র চিকিৎসার জন্য এ ডিভাইস লাগানো হয়।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলায় কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি লন্ডনের ‘মন্তাদা এইড’ এবং ঢাকাস্থ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের সার্বিক কারিগরি সহায়তায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। দু’দিনব্যাপী এ কার্যক্রম শনিবার শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকাল পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ ৫ জন শিশুর দেহে ডিভাইস বসানো হবে। এ কার্যক্রম হাসপাতালটির হৃদরোগ বিভাগের আয়োজনে এবং শিশু মেডিসিন বিভাগের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ওসমানী মেডিকেলের ক্যাথল্যাবে বড় হৃদরোগীদের শল্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের জন্য এ কার্যক্রম চালু হাসপাতালের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির বলেন, এ অপারেশনে হাসপাতালের ক্যাথল্যাবসহ সংশ্লিষ্ট সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের এই চিকিৎসায় যে-কোনো ধরনের সহযোগিতা আমরা আমরা বদ্ধপরিকর।

Sharing is caring!