প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আদালত চত্বরে সাবেক কাউন্সিলর লায়েককে মারধর

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ০২:৫৮ অপরাহ্ণ
আদালত চত্বরে সাবেক কাউন্সিলর লায়েককে মারধর

 

সিলেট অফিস:

সিলেটে আদালত চত্বরে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েককে কিলঘুষি ও লাথি মেরেছে কিছু লোক।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সামনে এমন ঘটনা ঘটে। এসময় লায়েককে তাকে দালাল ও দখলবাজ আখ্যা দিয়ে গালাগালও করেন কয়েকজন।

আগেরদিন (শনিবার) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সিসিকের অপসারিত কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা লায়েককে রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। দুপুরে সিলেট চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুলে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। তবে আবেদনের শুনানি পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে।

কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. ইবায়দুল্লাহ বলেন, ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামি সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েককে আদালতে তোলা হয় রোববার। এসব মামলার পাঁচটির তদন্ত কর্মকর্তা আমি। লায়েকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে, সেটি তদন্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। লায়েককে গ্রেপ্তারের পর পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

তিনি বলেন, তাকে আদালতে তোলার জন্য নিয়ে এলে তিনি জনরোষে পড়েন। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় বিক্ষুব্ধরা তাকে পেছন থেকে অতর্কিতভাবে হেনস্তা করেন।

শনিবার রাজধানী থেকে লায়েককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে সড়ক পথে সিলেটে আনা হয়। দীর্ঘ যাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর কোতোয়ালি মডেল থানায় নেওয়া হয়।

কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।

গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সিসিকের আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলররা আত্মগোপনে চলে যান। লায়েকও একই পথ ধরেছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক।

ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন- আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এগুলো ৫ আগস্টের আগে আন্দোলন চলাকালীন নাশকতা, হত্যাচেষ্টা ও হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা। এসবের মধ্যে বন্দরবাজার এলাকার একটি ঘটনায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তবে আজ (রবিবার) শুনানি হয়নি, পরবর্তীতে হবে।

সিসিকের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক এই কাউন্সিলর টানা দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ছিলেন। প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন সময় খবরের শিরোনামে ছিলেন তিনি। সরকারি চাল সরিয়ে ফেলা, ভাতার জন্য চাঁদা দাবি করা ও নিজের কার্যালয়ে হামলার নাটক সাজানোসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ লায়েক।

 

 

 

Sharing is caring!