প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারের পল্লীতে আওয়ামী পরিবারের দাপট: হামলা-মামলায় জর্জরিত এলাকাবাসী

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজারের পল্লীতে আওয়ামী পরিবারের দাপট: হামলা-মামলায় জর্জরিত এলাকাবাসী

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

বিয়ানীবাজারের পল্লীতে এক আওয়ামী পরিবারের দাপটে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসী। তাদের মারমুখি আচরণ আর হামলা-মামলায় জর্জরিত এলাকার একাধিক পরিবার। গোষ্ঠিগত দ্বন্ধ আর গ্রামের মসজিদের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে নিরীহ গ্রামবাসীকে তারা হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের বেজগ্রামে সাম্প্রতিক সংগঠিত একাধিক হামলা-মামলার ঘটনা থেকে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। এসব ঘটনায় শান্তিপ্রিয় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছোট বেজগ্রাম জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করতে যান বয়োবৃদ্ধ আব্দুল করীম (৬৫)। কিন্তু পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই বৃদ্ধকে নামাজ আদায় করতে না দিয়ে মসজিদের ভিতরে-বাইরে ব্যাপক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় একই গ্রামের মৃত মুছব্বির আলীর ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন (৫৫), তার আপন ভাই সেলিম উদ্দিন (৫০), আলীম উদ্দিন (৪৫), দুলাল আহমদ (৪০), হেলাল উদ্দিনের ছেলে জিবান আহমদ (২২) ও মারজান আহমদ (২১) কে আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন ওই বৃদ্ধের ছেলে জুমাইল আহমদ। মামলা পরবর্তী বিবাদীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে ফের গ্রামের রাস্তায় একা পেয়ে ওই বৃদ্ধকে মারধর করতে ধাওয়া করেন। বিষয়টি উল্লেখ করে থানায় পৃথক আরেকটি সাধারণ ডায়রী করা হয়। পুলিশ জামিনে আসা বিবাদীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সাধারণ ডায়রীর তদন্ত শুরু করে।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহীদুল জানান, আসামীরা জামিন নেয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তারা জামিন নিয়ে ফের বাদীর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার চেষ্টা করছে।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী পরিবারের ওই সদস্যরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তারা আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে ভিন্নপথে চলতে শুরু করেন। গত ৩০ অক্টোবর নালবহর বাজারে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার জের ধরে আহত হন ওই আওয়ামী পরিবারের সদস্য স্কুল পড়ুয়া ছেলে সায়েম আহমদ। এ ঘটনায় ছেলেকে মারধরের অভিযোগ করে আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করেন সেলিম উদ্দিন। আদালতের আদেশমতে এ মামলাটি রেকর্ড করে থানা পুলিশ।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হক মামুন জানান, তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। কারা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে শৃংখলায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

 

এদিকে হামলা-মামলা ও হয়রানীর শিকার পরিবারের সদস্য জুমাইল আহমদ অভিযোগ করেন, গত কয়েক বছর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হেলাল, সেলিম গং আমাদের হয়রানী করছে। এলাকার কেউ কিছু বললেই তারা হামলা করতে আসে। প্রায় ২-৩মাস আগে মসজিদের ইমামকে মারধর করে তারা তাড়িয়ে দিয়েছে। তার অভিযোগ, আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ওই পরিবার ধনে-জনে বলিয়ান। তারা এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে এলাকার মানুষকে জিম্মী করে রেখেছে।

Sharing is caring!