প্রজন্ম ডেস্ক:
আগামী মাসেই গঠিত হচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন পুনর্গঠনে এ সপ্তাহেই গঠিত হতে পারে সার্চ কমিটি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি করা আইনের আলোকেই এ সার্চ কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অবশ্য নির্বাচন কমিশন সংস্কারে সরকার গঠিত কমিশন প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আগে থেকেই বিদ্যমান আইনকে ত্রুটিপূর্ণ বলে আসছেন। এ জন্য তার কমিশন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংস্কারের সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইন সংস্কার করে ইসি পুনর্গঠনের চিন্তা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। সরকারের তরফ থেকে শুরুতে এমন আভাসও দেওয়া হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ ও নির্বাচন কমিশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে আগেভাগেই ইসি পুনর্গঠন করতে যাচ্ছে সরকার।
ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে গত ১২ ও ১৯ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। ১৯ অক্টোবরের সংলাপ শেষে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। তিনি বলেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে শিগগিরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে এবং এই সার্চ কমিটি ঠিক করবে নির্বাচন কমিশনার কারা হবে।’
বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘সরকার তার দলনিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে এই সার্চ কমিটি গঠন করবে। সার্চ কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিটি পুনর্গঠনের কাজ করবে।’
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে ওই বৈঠকে গণফোরামসহ কয়েকটি দল দ্রুত ইসি পুনর্গঠনে তাগাদা দেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদ থেকে কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে তার অন্য চার সহকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এরপর নতুন করে কোনও কমিশন নিয়োগ করা হয়নি। তখন থেকেই সচিবের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় রুটিনওয়ার্কগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমগুলোর সঙ্গে কমিশনের সংশ্লেষ থাকার কারণে সেগুলো সম্পাদনে বিঘ্ন ঘটছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আইনি বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে প্রতি বছরের শুরুর দিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হয় ইসির। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা হালনাগাদ হবে নাকি আগের সংগ্রহ করা তথ্য ও একই বছরে স্বেচ্ছায় নিবন্ধিত নাগরিকদের তথ্য দিয়ে তালিকা হালনাগাদ হবে, সে বিষয়ে কমিশনকে আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আইন অনুযায়ী ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দায়িত্বও ইসির। ফলে কমিশন না থাকায় এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি ইসি সচিবালয় নিতে পারছে না।
ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের পুরো প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছে। এখন তারা ইসি গঠনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইসি গঠিত হলে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা বাস্তবায়ন করবে।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী প্রতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রথমে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে তার দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ২ জানুয়ারিতেই খসড়া প্রকাশ করতে হবে, এমনটি নয়। তবে খসড়া প্রকাশের পর একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। অবশ্য কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কমপক্ষে আগের বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর থেকে শুরু করতে হয় বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইসি গঠন প্রশ্নে গত ২৩ অক্টোবর একটি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সপ্তাহখানেকের মধ্যে সার্চ কমিটি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এটা হয়ে যাবে। একটি বিধিবদ্ধ রুল আছে। তার আলোকে সার্চ কমিটি হবে। সার্চ কমিটি কমিশনারদের নাম সুপারিশ করবে। তার আলোকে নির্বাচন কমিশন প্রধান ও আইনি বিষয়ে অভিজ্ঞ সমাজের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিদের দিয়ে কমিশন গঠন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনও আলোচনা হয়নি। আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনকেই অগ্রাধিকার দিয়ে ইতোমধ্যে একটি খসড়াও করেছি। সরকার চাইলে আমরা তা উপস্থাপন করতে পারবো। না চাইলে তো আমরা দিতে পারি না।’
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বৈঠক শেষে কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগের আইন আমাদের অগ্রাধিকার। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ আইনটি সংস্কারের সুপারিশ করা হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সার্চ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সরকারের তরফ থেকে কয়েক দিন আগ থেকেই যোগ্য ব্যক্তিদের খোঁজা হচ্ছে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি তথা সার্চ কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটিতে অন্যদের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক; বাংলাদেশের মহা-হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক; বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক থাকবেন। তবে ওই দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মাঝে একজন হবেন নারী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার নতুন কমিশন গঠনের জন্য অনেকটা তড়িগড়ি করে ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন পাস করে। তবে ওই সময় আইনটির সমালোচনা করেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ অনেকেকেই।
ওই সময় সুজন একটি সংবাদ সম্মেলন করে আইনটির সমালোচনা করে। সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইনটির সঙ্গে অনুসন্ধান কমিটির জন্য ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির জারি করা প্রজ্ঞাপনের পার্থক্য নেই বললেই চলে। এটি ঠিক নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন নয়, অনুসন্ধান কমিটি গঠনের আইন। অনুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারি করা নির্দেশনাকে আইনি মোড়ক দেওয়াই এর উদ্দেশ্য।
এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘দায়মুক্তির বিধানযুক্ত করে ২০২২ সালে প্রণীত আইনে যাকে খুশি তাকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। বর্তমানে যে আইন আছে, তা কোনও আইনই নয়। একটি প্রজ্ঞাপনকে আইনে রূপান্তর করা হয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আইনকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে সেই আইন বাতিলের দাবি তোলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। ওই অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনও ইসি গঠন আইন ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে তা সংস্কারের পক্ষে মত দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইসি নিয়োগে কোনও আইন ছিল না। কিন্তু ২০১২ সালে এবং ২০১৭ সালে পরপর দুবার সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। একইভাবে ২০১৭ সালে সার্চ কমিটি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। পরে ২০২২ সালে ওই সার্চ কমিটি গঠনের বিধান রেখে ইসি নিয়োগে আইন করে সরকার। ওই আইনে ২০১২ ও ২০১৭ সালে গঠিত সার্চ কমিটির বৈধতাও দেওয়া হয়।
যা আছে বিদ্যমান ইসি গঠন আইনে
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন পাস হয়। আইনে যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো—
সার্চ কমিটি বা অনুসন্ধান কমিটি গঠন: আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার উদ্দেশ্যে ছয় জন সদস্য সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন। সদস্যের মধ্যে থাকবেন প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক, যিনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতিও হবেন, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, বাংলাদেশের মহা-হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক, যাদের একজন হবেন নারী।
অনুসন্ধান কমিটি তার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবে। তিন জন সদস্যের উপস্থিতিতে অনুসন্ধান কমিটির সভার কোরাম গঠিত হবে। সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। এই কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করবে।
অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি: আইনে কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অনুসন্ধান কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করিবে এবং এই আইনে বর্ণিত যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিন্নতা, সততা ও সুনাম বিবেচনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে এই আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অনুসন্ধান করবে এবং এ জন্য রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুজন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে কমিটি।
সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা:
আইনে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদের জন্য কোনও ব্যক্তিকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, বয়স হতে হবে ন্যূনতম ৫০ বছর। কোনও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি, বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সিইসি ও কমিশনারদের অযোগ্যতা
আইনের অযোগ্যতা নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কোনও ব্যক্তিকে সুপারিশ করা যাবে না, যদি তিনি কোনও উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষিত হন, তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি লাভ না করে থাকেন।
এ ছাড়া যদি তিনি কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন; নৈতিক স্খলনজনিত কোনও ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বাংলাদেশ কোলাবোরেটরস আইনের অধীন যেকোনও অপরাধের জন্য দণ্ডিত হয়ে থাকেন বা আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ছাড়া তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনও লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সিইসি বা নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য হবে।
আইনে অনুসন্ধান কমিটি সাচিবিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে। সরকারকে আইনের অধীনে বিধিমালা প্রণয়নের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
Sharing is caring!