
স্টাফ রিপোর্টার:
রোজার ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ছাড়াও লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লা সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে ডিভিশনের প্রায় তিন শতাধিক সেনাসদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
দুপুরে কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তারা মহাসড়কের পাশে অবাধে যাত্রী উঠানামা ও অবৈধভাবে পার্কিং বন্ধ এবং মহাসড়কের উপর থেকে যেকোনো ধরনের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দিচ্ছেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের এই যাত্রা যেন সুখকর হয় সেজন্য সেনাবাহিনী সব বাস মালিক সমিতি ও চালকদের ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে না নামানো এবং অধিক গতিতে গাড়ি না চালনোর অনুরোধ করছে।
পাশাপাশি যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো, অযথা লেন পরিবর্তন, ক্লান্তি নিয়ে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতেও সচতেন করা হচ্ছে পরিবহন শ্রমিকদের।
এ ছাড়া মহাসড়কের দুইপাশে যাতে ভাসমান দোকান বসিয়ে রাস্তা সংকীর্ণ না করা হয় সে বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা- নোয়াখালী, কুমিল্লা-চাঁদপুর, কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে অবস্থিত সব বাজার মালিক সমিতিকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রায় বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো কারণ প্রতিহত করতে সেনাবাহিনী তার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে।
‘সমরে ও শান্তিতে সর্বত্র দেশের তরে’- লক্ষ্যকে সামনে রেখে সেনাবাহিনী অতীতে জনগণের পাশে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকতে বদ্ধপরিকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
Sharing is caring!