প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৩০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১লা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে ‘ঘুষ’ চাওয়ার কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধর

editor
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৫, ০৩:১২ অপরাহ্ণ
সিলেটে ‘ঘুষ’ চাওয়ার কাস্টমস কর্মকর্তাকে মারধর

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জে মধ্যরাতে প্রকাশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা শামীম আল মামুনকে ঘেরাও করে মারধর করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টায় শহরের ঘাটিয়াবাজার এলাকার এসডি প্লাজা নামে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। অভিযুক্ত শামীম আল মামুন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিদর্শক পদে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, শহরের ঘাটিয়া বাজার এলাকার এসডি প্লাজা নামক ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির সামনে শত শত ব্যবসায়ী, কর্মচারী, ক্রেতা ও সাধারণ জনগন ওই কর্মকর্তাকে ঘেরাও করে রাখে। এসময় উত্তেজিতরা ভুয়া, ভুয়া স্লোগান দিয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এক পর্যায়ে ওই কর্মকর্তাকে পুলিশের পিকআপভ্যানে তুলে নেওয়ার সময় কয়েকজন উত্তেজিত জনতা তাকে মারধোর করেন। এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান কাস্টমস এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।

এসডি প্লাজার মালিক শুভ দাশ জানান- শামীম আল মামুন এক সপ্তাহ আগে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একা গিয়ে কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। এরপর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়েরের হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেদিন টাকা দেওয়া হয়নি।

পরে সোমবার রাতে আরেক দফায় দোকানটিতে গিয়ে ঘুষের টাকার জন্য চাপ দেন ওই কর্মকর্তা। এ সময় দোকানের লোকজন ও কাস্টমস কর্মকর্তার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে কয়েকশ লোক এগিয়ে এসে তাকে ঘেরাও করে রাখেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

যদিও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা শামীম আল মামুনের দাবী তিনি দায়িত্ব পালনে এসডি প্লাজায় গিয়েছিলেন। তিনি কোন ঘুষ দাবী করেন নি। তবে মধ্যরাতে ওই কর্মকর্তা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাগজপত্র দেখার বিষয়টি সন্দেহের নজরে দেখছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) আলমগীর কবির বলেন- বিষয়টি ভুলবুঝাভুঝি হয়ে থাকতে পারে। তবে বিষয়টি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে মিমাংসা করা হবে।

Sharing is caring!