প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

দু:শাসন দীর্ঘ করতে তুরাবসহ অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়: এড. জুবায়ের

editor
প্রকাশিত আগস্ট ৮, ২০২৪, ০৩:৪৯ অপরাহ্ণ

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব স্মরণে অনুষ্ঠিত শোকসভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারী এড. এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেছেন, দু:শাসন দীর্ঘায়িত করতে শেখ হাসিনা রক্তের হোলি খেলা খেলেছেন। তার নির্দেশে সাংবাদিক তুরাবসহ সুশীলসমাজের নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিক, ভিন্নমতের ব্যক্তি, প্রশাসনের নীতিবান কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বাকশালি মনোভাব লালন করে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র বঞ্চিত করে রাখেন।

 

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের করদরাজ্যে পরিণত করেছিল। বিরোধী রাজনীতিকদের নির্মম নির্যাতন করে ক্ষমতা আকঁড়ে রাখার কৌশল পন্ড করে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। তার এই কলঙ্কিত দু:শাসনে দেশ বন্ধ ুশুণ্য হয়ে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াত আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. এহসানুল মাহবুব জোবায়ের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি আরো বলেন, সারা দেশে ৪ জন সাংবাদিক এই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম শহীদ তুরাব। একজন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় হেলমেট পরা প্রেস জেকেট পরা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা বর্বর পৈশাচিক কাজ বলে উলে­খ করেন তিনি।

 

উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা দক্ষিণ জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও দক্কিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ নাজমুল ইসলাম, প্রচার সেক্রেটারি হাকিম নাজিম উদ্দীন, এটিএম তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান জাবুর, পৌর আমীর কাজী জমীর হোসেন, নায়েব আমীর সৈয়দ আবু কয়ছর কাজল, মুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম সায়েক, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কাশেম চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারি এখলাছ উদ্দিন ও মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা শাব্বির আহমদ খাঁন, পৌর শ্রমিক সভাপতি আশিকুর রহমান হেলাল, এডভোকেট আসাদ আহমদ,জামায়াত নেতা ফজলুল হক প্রমুখ।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে গুলিবিদ্ধ হন তুরাব। পরে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান দৈনিক নয়া দিগন্তের এই প্রতিনিধি। তুরাব স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদের নিজস্ব প্রতিবেদকও ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন।

    No feed items found.